শুক্রবার (৩ জুলাই) সকালে শ্রমিকদের ‘শতভাগ’ পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে পাটকল শ্রমিক।
তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের (৮ হাজার ৯৫৬ জন) পাওনা একত্রে পরিশোধ করা হবে। কেবল তাই নয়, তাদের দুই ধাপে টাকা দেওয়া হবে। অর্ধেক দেওয়া হবে ক্যাশে, বাকি অর্ধেক দেওয়া হবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। এতে তারা প্রতি তিনমাস পরপর এক প্রকার বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। এতে শ্রমিকদের বাড়তি আর্থিক সুরক্ষা তৈরি হবে।
‘২০২০ সালের জুন মাসের মজুরি আগামী সপ্তাহে দেওয়া হবে। নোটিশ মেয়াদ অর্থাৎ জুলাই-আগস্ট মাসের ৬০ দিনের মজুরিও উভয় মাসে যথারীতি পরিশোধ করা হবে। সব ক্ষেত্রে মজুরি কমিশন-২০১৫ এর ভিত্তিতে পাওনা হিসাব করা হবে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা মানে এগুলোকে শেষ করে দেওয়া না। পাটকল পিপিপি প্রকল্পের আওতায় নতুন করে যাত্রা শুরু করবে। আমার দৃষ্টিতে শ্রমিকরা কর্মহীন হচ্ছে না, ভালো জায়গায় যেতে হলে কিছু বেদনা থাকবে। তবে আমার দাবি থাকবে যাতে টাকাগুলো শ্রমিকরা এককালীন পান।
*** চলতি মাসেই জুনের বেতন পাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা
*** পিপিপির আওতায় পাটকলে পুরনো শ্রমিকদের অগ্রাধিকার
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
ইএসআর/এএ