শুক্রবার (৩ জুলাই) সকালে শ্রমিকদের ‘শতভাগ’ পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, যখন পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত হলো আমি বললাম এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা মানে এগুলোকে শেষ করে দেওয়া নয়। সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় নতুন করে যাত্রা শুরু করবে পাটকল। এতে লোকসান হবে না, এর মাধ্যমে উৎপাদন বাড়বে, অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, পাটকল বন্ধ হওয়া মানে আমার দৃষ্টিতে শ্রমিকরা কর্মহীন হচ্ছে না, তবে ভালো জায়গায় যেতে হলে কিছু বেদনা থাকবে। তবে আমার দাবি থাকবে যাতে টাকাগুলো শ্রমিকরা এককালীন পান।
‘আমরা পিপিপি করছি মানে মালিকানা চলে যাবে না। এখানে অংশীদারিত্ব থাকবে, বাইরের কোনো মালিকানা থাকবে না। আমরা ৬০ বছরের পুরনো মেশিনের স্থলে নতুন মেশিন বসাতে চাই যার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়বে। সেখানে আমাদের পুরনো শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবেন, যারা কাজ করতে চান। ’
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাজেট থেকে বরাদ্দ শুরু হলেই শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করবো যত দ্রুত সময়ে অর্থ দেওয়া যায়। শ্রমিকদের দুই ধাপে টাকা দেওয়া হবে। অর্ধেক দেওয়া হবে ক্যাশে, বাকি অর্ধেক দেওয়া হবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। পাশাপাশি শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
ইএআর/এএ