বিতরণের অংশ হিসেবে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল এবং রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে ওই সামগ্রী দেওয়া হয়।
শনিবার (৪ জুলাই) প্রাণ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) প্রাণ গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল ওই তিনটি হাসপাতালে সার্জিক্যাল মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গগলস ও হেড ক্যাপ হস্তান্তর করেন।
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর টিটু মিয়া, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রকাশ চন্দ্র রায় এবং কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর এসব সুরক্ষাসামগ্রী গ্রহণ করেন।
প্রাণ গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল। করোনাকালে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যাতে সুরক্ষিত থেকে এ মহৎ কাজটি চালিয়ে যেতে পারেন, সেজন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালগুলোতে সুরক্ষা সামগ্রী দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এই সময়ে যার যা সামর্থ্য আছে তা দিয়ে আমরা যদি একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি, তাহলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ কঠিন সময় অতিক্রম করতে পারবো বলে আশা করছি।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ভোলার ১৫টি হাসপাতালে মাস্ক, পিপিই হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ প্রদান করে প্রাণ-আরএফএল। এছাড়া চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছে গ্রুপটি।
অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে সাধারণ ছুটির সময় তিন ধাপে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ৬০ হাজার অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে প্রাণ-আরএফএল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এএটি