শনিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। এর আগে, গত ১ জুলাই বাংলাদেশি রপ্তানিকারকের প্রতিনিধিরা বাণিজ্য সচলের দাবিতে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, আমদানি বন্ধের কারণে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে রয়েছে প্রায় আট শতাধিকের বেশি পণ্যবোঝাই ট্রাক। তবে এপথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা দেশে ফিরছেন।
কাঁচামাল আমদানিকারকের প্রতিনিধিরা জানান, বর্তমানে আমদানি-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় কিছু কাঁচামাল ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকে রয়েছে। এই কাঁচামালগুলো যদি এই মুহূর্তে আমদানি করা না হয়, তাহলে সব কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যাবে এবং অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই কাঁচামালগুলো আমদানি করার দাবি জানান তারা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বাংলানিউজকে জানান, যেহেতু এপথে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে। ভারতীয় ট্রাক চালকরা আসা-যাওয়া করছেন। এখানে রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার কোনো কারণ নেই।
এছাড়া ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যে সব কাঁচামাল আটকে রয়েছে সে মালামালগুলো দ্রুত আমদানি না করা গেলে নষ্ট হয়ে যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে জানান, পেট্রাপোল বন্দরে কাঁচমাল বা অন্য যে মাল হোক না কেনো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রপ্তানির মালামাল গ্রহণ না করলে আমদানি সচল করা হবে না। তবে দু’এক দিনের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হবে বলেও তিনি জানান।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক বিষয়ক সম্পাদক হায়দার আলী বাংলানিউজ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচলের জন্য সম্মতি জানিয়েছেন। দু’এক দিনের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হবে।
রাজস্ব কর্মকর্তা নঈম মীরন বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয়দের সঙ্গে কথা ছিল এক সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চলবে। কিন্তু তারা বাংলাদেশে পণ্য দিলেও বাংলাদেশি পণ্য গ্রহণ করছে না। অবশেষে প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা ভারতীয় পণ্য আমদানি বর্জন করেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর পণ্য খালাস চলছে। বাণিজ্য সচলের জন্য তারা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এসআরএস