চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এই ফ্রেব্রিকস বাজারে এনেছে রুট গ্রুপ অব কোম্পানিজ।
প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (৪ জুলাই) এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে- চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এএমএএম জুনায়েদ সিদ্দিকী গবেষণাটি করেছেন।
এই ফ্রেবিকস উন্নত সিলভার এবং ভ্যাসিকাল প্রযুক্তির বিশেষ মিশ্রণে তৈরি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল করোনা কিলার, যা মাত্র দুই মিনিটে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভাইরাসকে ধ্বংস করে। ২০ বার ধোয়ার পরেও টেক্সটাইল সামগ্রীতে করোনা কিলার কার্যকর থাকে।
এছাড়া করোনা কিলার সমৃদ্ধ টেক্সটাইলস ও অ্যাপারেলসে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংস্পর্শে আসলে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। এজন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন- পিপিই, ফেইস মাস্ক, আইসোলেশন গাউন, ওভারঅল, সু-কাভার, ডেনিম, নন-ডেনিম, প্যান্ট, শার্ট, লেডিস ওয়্যার, টি-শার্ট, পলো শার্ট, হোম টেক্সটাইল, হাসপাতালের ইউনিফর্ম এবং এয়ার ফিল্টারেও ব্যবহার করা যায়।
বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতের জন্য নতুন এ প্রযুক্তির উদ্ভোধন করা হয়েছে শুক্রবার (৩ জুলাই)। ফলে বাজারে পণ্যটি সহজেই মিলছে, যা করোনা থেকে অধিকতর সুরক্ষা দেবে।
এ বিষয়ে রুট গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল বলেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রুট গ্রুপ যৌথভাবে এই নিয়ে অধিকতর গবেষণা কার্যক্রমের জন্য একটি এমওইউ চুক্তি সম্পাদনের প্রায় দ্বারপ্রান্তে আছে। গবেষণা কার্যক্রমের যাবতীয় আর্থিক সহায়তা দেবে রুট গ্রুপ।
তিনি বলেন, করোনার কারণে অর্থনীতি প্রায় থমকে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছে অনেক মানুষ। করোনা কিলার সামগ্রী ব্যবহার করে যদি মানুষকে আবার তার কর্মে ফেরানো যায়, সেজন্য আমাদের এ উদ্যোগ। করোনা প্রতিরোধে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলেও এ সুরক্ষা সামগ্রীর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের করোনা সংক্রমণ থেকে অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
পণ্যটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, বিএসএমএমইউ'র সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুল্লাহ সিকদার, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এএমএএম জুনায়েদ সিদ্দিকী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অধ্যাপক ড. এএমএএম জুনায়েদ সিদ্দিকী তার গবেষণায় পাওয়া ফলাফল সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান করোনা মহামারির সময়ে এই ধরনের একটি উদ্যোগ বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিকে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত করবে। এ ধরনের ফেব্রিকসের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যক্তিগত ব্যবহার ছাড়াও হাসপাতালগুলোতে ব্যবহার হতে পারে। তাই ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরো গবেষণার উপর জোর দেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
ইইউডি/এমএইচএম