বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে এর দাম আরও বেশি।
রোববার (৫ জুলাই) জামালপুরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০, বরবটি ৪০, টমেটো ১০০, বাঁধাকপি ৫০ (প্রতি পিস), ফুলকপি ৩০-৪০ (প্রতি পিস), চিচিঙ্গা ৫০-৫৫, পেঁপে ২৫, বেগুন ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৩০, কচুর লতি ৫০, কচুরমুখী ৪০, শসা ৪০, আলু ২০-২২, ধুন্দুল ৪০, গাজর ৫০ ও পটল ৪০ টাকা।
এছাড়া প্রতি হালি লেবু ২০-৩০ এবং কাঁচাকলা হালি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এছাড়া মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫, দেশি রসুন ৯০ থেকে ১৬০, আমদানিকৃত রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। প্রতিকেজি আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
খুচরা বাজারে দেশি ডিম হালি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায় এবং ফার্মের মুরগির ডিম হালি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা।
দাম বেশি নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা জানান, বন্যার কারণে এসব কাঁচা তরিতরকারির সরবরাহ কম সে কারণে পাইকারি বাজারেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পণ্যগুলো, তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে করোনার কারণে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষদের এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, চলতি বন্যায় ১৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে কাঁচা সবজিই বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কাঁচা শাক-সবজির দাম একটু বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
আরএ