মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ‘ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-১৯ অন দ্য বাংলাদেশ ইকোনমি অ্যান্ড সিলভার লাইনিংস’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে এইচএসবিসির কো-হেড অব এশিয়ান ইকোনমিক্স রিসার্চ ফ্রেডরিক নিউম্যান এ কথা বলেন।
নিউম্যান বলেন, বাংলাদেশ সন্তুষ্টিজনক অর্থনৈতিক সহনশীলতা দেখিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তার অর্থনীতিকে বেশ ভালোভাবেই মোকাবিলা করেছে। একদিকে পোশাকখাতে বিশ্বব্যাপী চাহিদা কমায় যেমন তৈরি-পোশাকশিল্পে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স হ্রাস পেয়েছে, অপরদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য পড়ে যাওয়ায় এবং আমদানিতে স্থবিরতা আসায় দেশের বাণিজ্যের অবস্থান সহনশীল রয়েছে। স্থানীয় শ্রমবাজারে দৈনন্দিন কাজের চাহিদা কমে যাওয়ায় ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশের কারণে ভোক্তারাও কম খরচ করছেন। উক্ত পরিস্থিতিতে সরকার চাহিদা পূরণে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পক্ষান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বাত্মক সহযেগিতা দিয়ে চলেছে।
ভার্চ্যুয়াল ভিডিও সেশনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।
রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, বিগত দশকে অর্থনৈতিক সফলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। কোভিড-১৯ প্যানডেমিক উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে কীভাবে একটি টেকসই ও বেসরকারিখাত বান্ধব প্রবৃদ্ধির পথে দেশ এগিয়ে যাবে, তা এখন দেখার বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করছি, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় সংস্থা এইচএসবিসির অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ প্রদত্ত আজকের এ আলোচনা ও দিকনির্দেশনা বাংলাদেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ও উদ্যোক্তাদের এ বিশেষ পরিস্থিতি থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, এটি সবার জন্যে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। বাংলাদেশ এ পরিস্থিতিতে প্রবেশ করেছে এক বৃহত্তর শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানে থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগত সব সহযোগিতা প্রদানে কাজ করে চলেছে। বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষকে সবাই সহনশীল এক জাতি হিসেবে চেনে এবং এ জটিল পরিস্থিতিতে আমরা সবাই একসঙ্গে বেরিয়ে আসবো।
স্বাগত বক্তব্যে এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুবউর রহমান বলেন, জনজীবনে অকল্পনীয় কিছু পরিস্থিতি ও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে এ কোভিড-১৯ প্যানডেমিক। আর এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে এটিই এসময়ের আহ্বান। বলা হয় গভীর কালো রাতের পরও সূর্য ঠিকই উদিত হয়, আর আমি আজকের আলোচনার পর একইভাবে আশাবাদী। নিশ্চই আমরা এ পরিস্থিতি থেকে একসঙ্গেই বেরিয়ে আসবার পথ খুঁজে নেবো।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, নিয়ন্ত্রক ও সরকারি সংস্থার সদস্যরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
এসই/আরবি/