রোববার (১২ জুলাই) বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রকিবুল ইসলাম যাত্রী পরিসংখ্যান ও রাজস্ব আদায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, করোনার কারণে এবার যাত্রীর যাতায়াত গত অর্থ বছরের চেয়ে কমেছে।
ভারতে প্রবেশকারী ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ১০ শতাংশ ভারতসহ অনান্য দেশের রয়েছে। এসব যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায়ের কাজ করে থাকে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা যাত্রী প্রতি ৫শ টাকা ভ্রমণকর এবং বন্দরের ট্যাক্স বাবদ ৪২ টাকা ৮৫ পয়সা আদায় করে থাকে।
বেনাপোলের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতিবছর এত বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয় হলেও এখানে যাত্রীসেবা বাড়েনি। অবকাঠামো উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া সেবার নামে ট্যাক্স আদায় করা হলেও বন্দরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া তেমন কোনো সেবা নাই। ইমিগ্রেশনে যাত্রী ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় রোদে পুড়তে আর বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। রয়েছে ইমিগ্রেশন ও যাত্রী টার্মিনালে প্রতারক আর ছিনতাইকারীদের দৌরত্ম্য।
বন্দর ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বৈধভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারত যাতায়াত শুরু হয়। বেনাপোল থেকে কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। বেনাপোল থেকে রওনা দিয়ে ট্রেন ও বাসে করে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছা যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এপথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ যাতায়াতে প্রথম থেকে স্বাচ্ছন্দ্য প্রকাশ করে থাকে। বর্তমানে বেনাপোল স্থলপথ ও রেলপথে যাত্রীরা ভারত যাতায়াত করে থাকে।
করোনার কারণে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ১৩ মার্চ থেকে এপথে বাংলাদেশিদের ভারত যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতীয় হাইকমিশনারের বিশেষ অনুমতিতে ভিআইপি ব্যক্তিদের যাতায়াত সচল রয়েছে বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
আরএ