খামার মালিক মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবা হাজী এসএম শাহাবুদ্দিন। বাবার ছিল গুলের ব্যবসা।
তিনি বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কয়েক মাস আগে হাট থেকে ছোট গরু কিনে সেগুলোকে কোনো হরমোন ওষুধ, রাসায়নিক ও কৃত্রিমতা ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে খামারে মোটাতাজাকরণ করেছি। খামারে ছোট দুই শতাধিক গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। খামারে দেশি, শাহিবল, শংকর, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় রয়েছে। এসব গরুর সাইজ অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। আশা করেছিলাম- এবার কোরবানির হাটে এসব বিক্রি করে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হবে। কিন্তু করোনার কারণে সব ভেস্তে যেতে বসেছে।
করোনাকালে মাস্ক পড়ে খামারে দর্শনার্থীদের পরিদর্শন করার সুযোগ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মিন্টু বলেন, ক্রয় করা গরু ফার্মেই রাখার ব্যবস্থাসহ নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে ঈদের আগে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
খামারের প্রতিটি গরু বিক্রির সময় প্রাণিসম্পদ বিভাগের সনদপত্র দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিক্রির সনদপত্র দেওয়ার ফলে ক্রেতাদের কাছে আমার খামারের গরুর চাহিদা থাকে বেশি। কিন্তু এবার করোনার কারণে গরু কেনা-বেচা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। বিশেষ করে ঢাকার বড় বড় পার্টি না এলে সুলতানকে নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোনাক্কা আলী বাংলানিউজকে বলেন, জেলার মধ্যে ‘ইউসুফ হৃষ্টুপুষ্ট খামার’ ও ‘ডেইরি ফার্ম’ ব্যতিক্রম। এখানে সন্তানের মতো গবাদিপশুকে লালন-পালন করে মোটাতাজাকরণ করা হয়। তাদের খামারের বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এটি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশও করেছেন। আমরা সাধ্য মতো খামার দু’টিকে সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
এসআরএস