এরমধ্যে অন্যতম কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার, পাওয়ার থ্রেসার, ড্রায়ার, পাওয়ার উইডার, পাওয়ার স্পেয়ার, পটেটো ডিগার, মেইজ শেলার ইত্যাদি। ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এটিসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ১০ হাজার ১০২ কোটি ৩ লাখ টাকার ব্যয় সম্বলিত ৮টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে জিওবি ১০ হাজার ৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৩ কোটি ১৩ লাখ।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সংযুক্ত হয়ে এ অনুমোদন দেন।
কৃষি উন্নয়নে প্রকল্পটি বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশজুড়ে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের আওতায় হাওর ও লবণাক্ত জেলায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। অন্য জেলায় দেওয়া হবে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি। কৃষক যেসব যন্ত্র পছন্দ করবে সেগুলোই দেওয়া হবে। জোর করে কৃষি যন্ত্রপাতি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কৃষক গ্রুপের সদস্যরাই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
এছাড়া একনেক সভায় স্থানীয় সরকার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণ দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্প; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১) প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প (২য় পর্যায়) ও বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, রংপুর জোন প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এমআইএস /এএ