তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে চামড়ার ক্রয় মূল্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। আমরা আশাবাদী, এ বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) জুম প্ল্যাটফর্মে ২০২০-২১ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর কোরবানির চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকার সবকিছু করবে। বিষয়টির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এবং বিগত দিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চামড়া সংগ্রহের জন্য এবার কোনো অর্থ সংকট থাকবে না। এবার প্রয়োজনে সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির বিষয়টিও মাথায় রেখেছে। গত বছরের মতো পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতে হতে দেওয়া হবে না। কয়েকদিনের মধ্যে ট্যানারি মালিকরা চামড়ার ক্রয় মূল্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। আমরা আশাবাদী এ বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
টিপু মুনশি বলেন, কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবের ফলে বিগত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে পণ্য খাতের রপ্তানি আয় হ্রাস পেয়েছে, তবে জুন মাস থেকে তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, সঠিক নীতি অনুসরণ এবং সময়মতো তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে রপ্তানির গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চলতি অর্থ বছরের ৬ মাস পর বিশ্ব অর্থনীতি এবং আমাদের রপ্তানির গতিচিত্র পর্যালোচনা ও বিশ্লেষন করে আজ ঘোষিত ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পুননির্ধারণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বেসিসের সভাপতি আলমাস কবীর, চামড়াজাত পন্য রপ্তানিকারক সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম এবং বিকেএমইর প্রথম সহ-সভাপতি মো. হাতেম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি