বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কামারপট্টি ঘুরে দেখা গেছে ঈদ উপলক্ষে লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামার শিল্পীরা। গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন সবাই।
অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরই কোরবানীর ঈদে দা, বটি, ছুরি, হাসুয়া, চাপাতিসহ লোহার বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ মৌসুম ঘিরে ভালো আয়-উপার্জন করে থাকেন তারা। তবে এবার হতাশা ঘিরে ধরেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে একেবারেই বেচাকেনা নেই বলা চলে।
বর্তমানে বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী আক্ষেপের স্বরে বলেন, খদ্দেরই নেই, তার আবার বেচাকেনা! আর কিছু দিন পর ঈদ। অন্যবার এই সময়ে জমে ওঠে দা-বটির বাজার, অথচ এবার বিক্রিই নেই। ক্রেতারা আসছেই না। সারাদিনে দুই তিনটা দা-বটিও বিক্রি হয় না।
কামার শিল্পী সেন্টু মিয়া বলেন, বছরের এই ঈদ মৌসুমটাই আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করার চিন্তা করলে এই দিনগুলা ঘিরেই করা হয়। গত ঈদে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন হলেও কারিগরদের বেতন দিয়ে খুব একটা থাকেনি। ভেবেছিলাম কোরবানি কেন্দ্র করে বেশি অর্ডার আসবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন একেবারেই ভিন্ন।
জয়নাল নামের আরেক কামার শিল্পী বলেন, অন্যসময় ঈদের এক মাস আগে থেকেই টেলিভিশন আর পত্রিকার লোকজন এখানে আসতে থাকেন। এবার এখনো কেউ আসে নাই, আপনেরাই প্রথম। বোঝেন তাহলে কী অবস্থা! সাধারণ মানুষের কথা তো বাদই দিলাম। তারা দুই একজন আসলেও হাতে ধরে দেখে না কিছুই। তাহলে বিক্রি হবে কোথা থেকে!
অন্যা কামার ও ব্যবসায়ীরাও একই রকম কথা জানান। এখন তাদের আশা ঈদ এগিয়ে আসতে আসতে যদি বিক্রি কিছুটা বাড়ে। সেই লক্ষ্যেই থেমে না থেকে একের পর এক জিনিসপত্র তৈরী করে চলেছেন তারা।
কামারপট্টিপর এ বাজারে মিলবে হাসুয়া, কাস্তে, দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় লোহার ধারালো বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। লোহার মান ও পণ্যের আকার ভেদে এগুলোর দাম পড়বে ২০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
এইচএমএস/এইচজে