ঢাকা: করোনা মহামারির কঠিন সময়ে সম্মুখ সারিতে দায়িত্ব পালনকারী সংবাদ মাধ্যমকর্মীদেরকে ‘অ্যামচ্যাম ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’ দিতে যাচ্ছে দ্য আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম)।
বাংলাদেশের স্বীকৃত জাতীয় পর্যায়ের সংবাদমাধ্যমগুলোতে কর্মরত যেকোনো সাংবাদিক এবং টিভি ক্যামেরাপার্সন তাদের মহামারি সম্পর্কিত সাধারণ ও বাণিজ্য প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন।
১ মার্চ থেকে শুরু করে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রচারিত অথবা প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ৬ সেপ্টেম্বর। স্বনামধন্য বাছাই অথবা সিলেকশন কমিটির নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বিজয়ীদেরকে নির্বাচিত করা হবে। এরপর আরেকটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কৃত তুলে দেওয়া হবে।
বুধবার (২২ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাস্টহেড পিআরের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো- করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে যেসব সংবাদকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদান করা।
করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বেই সংবাদকর্মীরা বিশেষত: যারা মাঠে থেকে কাজ করছেন, তাদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানান ধরণের ঝুঁকির মধ্যেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এরপরও তারা বসে না থেকে গুজব এবং আতঙ্ক যেন সমাজে ছড়িয়ে না পড়ে, সেলক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সরকারকেও সহায়তা করে যাচ্ছেন।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনলাইনে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্যোগটির ঘোষণা দেওয়া হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ সেসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অতিথি (গেস্ট অব অনার) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়ান ওয়গনার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অ্যামচ্যামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদ। এছাড়া সংগঠনের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ‘অ্যামচ্যাম ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’ সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে সংক্ষেপে অবহিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এসই/জেআইএম