ঢাকা: মাত্র একদিনের ব্যবধানে রান্নায় অতি প্রয়োজনীয় মসলাজাতীয় পণ্য কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে দেশি কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, বন্যায় মরিচ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাইকারি বাজারে মরিচ কম আসছে। এ কারণে মরিচের বাড়তি দাম। শনিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, খিলগাঁও বাজারে প্রতি ১০০ গ্রাম মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায় আর ২০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। টাকার হিসাবে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে ২০০ টাকা। আর ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। দেশের মধ্যে চলমান বন্যার কারণে মরিচ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে মরিচ সরবরাহ কমেছে আগের তুলনায় অনেক বেশি।
এ বিষয়ে শান্তিনগর বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা হাসান বলেন, এখন মরিচে লাভ নেই। কাস্টমার ধরে রাখতে মরিচ রাখছি। এতে তারা অন্যান্য সবজি কিনছেন, কিছুটা পুষিয়ে আসছে।
খিলগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসিবুল বলেন, পাইকারি বাজারে দেশি মরিচ ১৮০ টাকায় কেনা পড়ছে, শুকিয়ে যায়, পচা থাকে। এরপরও ২০০ টাকায় বিক্রি করছি, যাতে ক্রেতাসাধারণ মরিচের পাশাপাশি অন্য পণ্য কিনতে পারেন। তিনি বলেন, ভারতীয় মরিচ ১৮০ টাকায় বিক্রি করলেও ঝাঁজ কম থাকায় দেশি মরিচের চাহিদা বেশি।
অন্যদিকে মরিচের সঙ্গে দাম বেড়েছে দেশি শসার। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে দেশি শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় আর হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। তবে দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। মাত্র একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
ইএআর/এমএইচএম