ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এখনও জমে ওঠেনি রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
এখনও জমে ওঠেনি রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাট কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা কম/ ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ঈদুল আজহা দরজায় কড়া নাড়লেও এখনো জমে ওঠেনি রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাট। পর্যাপ্ত কোরবানির পশু থাকলেও হাটে এখনও ক্রেতা কম।

তবে এবার অনলাইনে পশু কেনাবেচা বাড়ায় ক্রেতা কিছুটা কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত প্রতিবছরই ঈদের দুই-তিনদিন আগে রাজধানীর পশুর হাটগুলো জমে ওঠে। এবারও তেমনটা হবে বলে তারা আশাবাদী।

তথ্যমতে, আগামী ১ আগস্ট বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সেই অনুযায়ী ঈদের আর মাত্র ছয় দিন বাকি। ঈদ ঘনিয়ে এলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানির পশুর হাট এখনও জমজমাট হয়ে ওঠেনি।

গরুর হাট/ছবি: জি এম মুজিবুরশনিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বর (সিআরপি) ভাষানটেক পশুর হাট ও কচুক্ষেত বাজার গরু-ছাগলের হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাষানটেক পশুর হাটে মাত্র চারটি গরু নিয়ে ব্যাপারীরা অপেক্ষা করছেন ক্রেতার জন্য। এখনও বাসানো হয়নি গরু বাঁধার খুঁটি। হাট চালু কারার কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে কচুক্ষেত বাজার গরু-ছাগলের হাটে। গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় লেম পোস্টে মই দিয়ে লাগানো হচ্ছে মাইক আর হ্যালোজেন লাইট। এর থেকে একটু এগিয়ে দেখা যায় ডেকোরেটরের লোকজন মাটি খুঁড়ে গরু বাঁধার খুঁটি বসাচ্ছেন। এই হাটে এসেছে প্রায় ১শ গরু। ক্রেতা এখনো দেখা যায়নি। আশপাশের লোকজন ও কিশোরদের গরু হাটে ঘুরতে দেখা যায়।

গরুর হাট/ছবি: জিএম মুজিবুরভাষানটেক পশুর হাটের ব্যাপারী আব্দুল মালেক বলেন, ২০ দিন আগে বগুড়া থেকে চারটা গরু নিয়ে এখানে আসছি। আমার এই চারটি গরুতে খরচ হয়েছে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা। লাল গরুটার দাম উঠছে ৯৫ হাজার টাকা। আর সাদা গরুর দাম চাই এক লাখ টাকা। এখন বাজার দরের অপেক্ষায় আছি। যে দাম আসবে সেই দামে বিক্রি করবো। লাভ-ক্ষতি যাই হোক বিক্রি করে বাড়ি যাবো।

কচুক্ষেত বাজার গরু-ছাগলের হাটের ব্যাপারী মো. খালেক বলেন, সকালে গরু নিয়ে হাটে আসছি। এবার পাবনার ফরিদপুর থেকে ১৯টি গরু আনছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক বড়-বড় ব্যাপারীরা এবার হাটে কম গরু এনেছেন। আমি গত পাঁচ ধরে হাটে গরু আনি। এবারও এনেছি, যা হওয়ার হবে, আল্লাহ ভরসা। আমার পাঁচটি গরু নিজের গোয়ালের আর বাকি গরু আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিনে হাটে নিয়ে আসছি। আমার ১৯টি গরুতে খরচ পড়েছে ২৩ লাখ টাকা। আশা করছি এই বাজারে ২৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো, বাকি আল্লাহর ইচ্ছায়। হাটে গরু বাঁধার খুঁটি বসাচ্ছেন শ্রমিকরা/ছবি: জিএম মুজিবুরকচুক্ষেত বাজার গরু-ছাগলের হাটের ইজারাদার মো. মাইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আশা করছি, আজকে রাতের মধ্যেই আমাদের হাট ভরে যাবে গরু-ছাগলে। বুঝতেই পারছেন এবার ক্রেতারা হাটে কম আসতে পারে। আমাদের এখানে সব ধরেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাটের কার্যক্রম চলবে। এবার তো অনেক হাট তো বন্ধ থাকছে। আমাদের রোববার দুপুরের পর থেকে পুরোদমে বেচা-কেনা শুরু হয়ে যাবে।     

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।