ঢাকা: সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই হয়েছে।
রোববার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়ের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর যথাযথ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সচেষ্ট। এজন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা একান্ত অপরিহার্য বলে সরকার মনে করে। এ প্রেক্ষাপটে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রাধিকার, বিশেষত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রূপকল্প ২০৪১ এবং অন্যান্য কৌশলগত দলিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১)’ অনুযায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। এ লক্ষ্য পূরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য এবং সেই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সীমিত পরিসরে কার্যক্রম সম্পাদনের অংশ হিসাবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত ১০টি দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই হয়েছে।
সেগুলো- বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, কপিরাইট অফিস, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
ডিএন/এএটি