ঢাকা: শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার (আর্থিক) ৯৯.১৭ শতাংশ অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, করোনার ভয়কে জয় করে প্রকল্পের কাজ করতে হবে।
রোববার (২৬ জুলাই) অনলাইন জুমে অনুষ্ঠিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্পসমূহের জুন পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী তার বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কেবলস, সিমেন্ট, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিকায়ণে গুরুত্ব আরোপ করেন। এসব কারখানায় যেসব পণ্য উৎপাদিত হয়, সেগুলো বিদেশ থেকে আমদানির পরিবর্তে দেশেই উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আস্থার প্রতীক। করোনাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তিনি নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। তার অনুকরণে আমাদের সবাইকে আরও কর্মতৎপর এবং উদ্যমী হতে হবে। যেসব খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রকল্প মূল্যায়ন সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে শিল্প মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশনা দেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনে প্রকল্প গ্রহণের তাগাদা দেন। তিনি বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পুরানো শিল্প কারখানাসমূহের আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের তাগাদা জানিয়ে বলেন, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে জনগণের অর্থের অপচয় হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর ফলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রয়েছে। দেশের সর্বত্র পণ্যের ভেজাল রোধে সকল জেলায় বিএসটিআই'র দপ্তর স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, সারের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে ৩৪টি বাফার গোডাউন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। সভায় প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়োগ এবং দেশীয় অভিজ্ঞ একাধিক স্টিল অবকাঠামো নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাফার গোডাউন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ সমাপ্তি পর্যায়ে রয়েছে এবং সাভারে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপি'র অটোমেশনের কাজ এবং এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ শিগগিরই সমাপ্ত হবে। লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি)-এর মানদণ্ড অর্জনে উদ্যোগসমূহের সঠিক বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রকল্পসমূহের বিগত বছরের অব্যায়িত অর্থ ফেরত এবং প্রকল্পে নতুন পদ সৃজন সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
জিসিজি/এমএইচএম