ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অন্যদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি ধরা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
অন্যদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি ধরা হবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন/ফাইল ফটো

ঢাকা: মোটরসাইকেল শিল্প খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।  

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভার্চ্যুয়ালি বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান তিনি।

মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।  

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি দ্রুত জনগণের ক্ষমতাও বাড়ছে। এর ফলে গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সর্বত্র মোটর সাইকেলের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বিশাল এ চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও বাড়ছে। এ শিল্প খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ’ 

মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি যৌক্তিক পরিমাণে নির্ধারণের বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট পলিসি-২০১৮ প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিবন্ধন ফি নির্ধারণের কাজ চলছে। দেশে মোটরসাইকেল শিল্পের কার্যকর বিকাশে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি রোডম্যাপ তৈরির কাজও দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।  

শিল্পমন্ত্রী মোটরসাইকেল ক্রেতাদের সুবিধার্থে রিটেল ফাইন্যান্সিং চালুর বিষয়ে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেন। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানান তিনি।  

বৈঠকে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে দেশে মোটরসাইকেল শিল্পের সম্ভাবনা ও এ শিল্পের  টেকসই বিকাশের পথে অন্তরায়গুলো তুলে ধরা হয়। বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতার উত্তরণ ঘটিয়ে উদীয়মান মোটরসাইকেল শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের যৌক্তিক নিবন্ধন ফি নির্ধারণ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে শুল্ক ও কর নির্ধারণে টেকসই নিয়ম এবং প্রবিধান অনুসরণ, এই শিল্পের সুবিধার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জারিকৃত এসআরও ১৫৫ সংশোধন করে নতুন কিছু অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামালে শুল্ক সুবিধা প্রদান, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি রোডম্যাপ তৈরি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় মোটরসাইকেল ক্রেতাদের জন্য রিটেইল  ফাইন্যান্সিং চালু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিমিহিকো কাতসুকি। বাংলাদেশের মোটরসাইকেল শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন- বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের হেড অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান এফসিএ।  

বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো. রইছ উদ্দিন, পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের উপদেষ্টা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব জামাল আবু নাসের চৌধুরীসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
জিসিজি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।