ঢাকা: ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানির তালিকায় গরু-ছাগলের পাশাপাশি মহিষের চাহিদা থাকলেও এবার রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে সে চিত্র নেই। মহিষের চাহিদা কম বলে জানিয়েছেন ব্যাপারীরা।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানির পশুর হাটে এমনিতেই ক্রেতা কম আসছেন। সে অনুপাতে এবার মহিষের চাহিদা অনেক কম বলে দাবি করছেন ব্যাপারীরা। বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গাবতলী হাট ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায় সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে।
বাসাবো নন্দিপাড়া থেকে গাবতলীর হাটে মহিষ কিনতে এসেছেন ব্যাপারী ইদ্রিস মিয়া। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গত তিন বছর ধরে আমি মহিষ কোরবানি দিই। একটি গরু যে দামে কিনব, সেই একই মূল্যে এর চেয়ে বড় মহিষ কিনতে পারছি। পরিমাণে মাংস বেশি পাচ্ছি। স্বাস্থ্যগতভাবে অনেক সুস্থ থাকতে পারছি। এসব কারণেই প্রতিবছর আমার মহিষ কোরবানি দেওয়া। এবার আমি এক লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনেছি। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার হাটে মহিষ অনেক কম উঠেছে। ক্রেতা অনেক কম দেখছি।
মহিষের চাহিদা প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালাম ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, এখনকার মানুষ অনেক সচেতন। অনেক শিক্ষিত। গরুর মাংস খেলে অনেক রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং হয়। কিন্তু মহিষের মাংস খেলে কোনো রোগের আশঙ্কা থাকে না।
যশোর থেকে ছয়টি মহিষ এনেছেন আনিসুর রহমান ব্যাপারী। তিনি বলেন, হাটে ক্রেতা আসছেন। কিন্তু তুলনামূলক অনেক কম। এখনও পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়নি। ষাঁড়-মহিষের চাহিদা বেশি। বেশির ভাগ ক্রেতা ষাঁড়-মহিষ কিনতে চান।
ঝিনাইদহ থেকে ছয়টি মহিষ আর একটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন আইয়ুব আলী ব্যাপারী। তিনি বলেন, এবার বেচাকেনা তেমন ভালো না। গতরাতে একটা মহিষ আর একটা গরু বিক্রি করেছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এখনও বসে আছি। তেমন কোনো কাস্টমার নেই। এবার হাটে যেমন ক্রেতা কম, তেমনি মহিষও হাটে কম উঠেছে। গতবার হাটে মহিষ বেশি ছিল, ক্রেতাও বেশি ছিল। এবার বাজারের হাও-ভাও কিছুই বুঝতে পারছি না।
গাবতলী পশুর হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের হাটে মহিষ উঠেছে। তবে প্রতিবারের তুলনায় এবার একটু কম উঠেছে করোনা ভাইরাসের কারণে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
এমএমআই/টিএ