ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কৃষির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে সরকারের রয়েছে বিশেষ মনোযোগ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
‘কৃষির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে সরকারের রয়েছে বিশেষ মনোযোগ’ ...

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নগরকৃষি আর ছাদবাগানের পাশাপাশি প্রবাসেও বাঙালিদের কৃষির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে সরকারের বিশেষ মনোযোগ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক নগরকৃষক সম্মেলন উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল এক সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সোমবার (১৭ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (উত্তর) মেয়র আতিকুল ইসলাম, এডিবির অবসরপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. পারভেজ ইমদাদ। আয়োজন সঞ্চালনা করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি কোনো দেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলের নয়, বরং এটি বিশ্ব পরিণ্ডলেও গুরুত্বপূর্ণ। এখন অনেক দেশে মানুষ না খেয়ে মারা যায়। আমাদের দেশে ভাত প্রধান খাদ্য। আমাদের চালের কোনো অভাব নেই। এখন দেশের দরিদ্র মানুষও ভালো খাবার খেতে পারে। আমরা চাই কৃষি হবে অর্থ উপার্জনের জন্য। মুনাফার জন্য। জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। সুন্দর একটি জীবনের সন্ধান পাবে।

প্রধানমন্ত্রীর কৃষির প্রতি বিশেষ মনোযোগ রয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা নগরকৃষি বিষয়ক একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে দিয়েছি। এক্সপার্ট ও হর্টিকালচারালিস্ট নিয়োগ দেবো। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবো। একটি প্রকল্প ইতোমধ্যেই আছে। প্রকল্পটিকে আরো বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে। জনবল যুক্ত করা হচ্ছে। আমরা কাউন্সিলর ও মেয়রকে যুক্ত করবো বিভিন্ন ওয়ার্ডে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা চাই কৃষি বিপ্লবের দেশ হিসেবে পরিচিত হোক বাংলাদেশ। আমাদের দেশের শ্রমিকরা মরুভূমিকে সবুজ করে তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী চান, কোনো মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে। দেশের মতো বিদেশেও আমরা শ্রমিকদের ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিতে পেরেছি। কৃষির উত্তরণের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৯ হাজার মানুষের বসবাস। আমাদের জমি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ভার্টিকাল এক্সপানশনের চেষ্টা করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে কৃষি উদ্যোগ নিতে হবে। যার যতটুকু সুযোগ আছে। সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন এভাবে করতে হবে, যেন ছাদে আমরা গ্রিন হাউস করতে পারি।

ড. পারভেজ ইমদাদ বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উদ্যোক্তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এখন কৃষি কূটনীতির কথা বলা হচ্ছে। এটি আমি সমর্থন করি। কৃষি কূটনীতি তৎপরতা চালানো হলে প্রবাসে যারা আছেন তারা উপকৃত হতে পারবেন।

সম্মেলনে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের নগরকৃষকদের অংশগ্রহণে কনফারেন্সে নগরকৃষির বৈশ্বিক বিবর্তন, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আন্তর্জাতিক নগর কৃষক সম্মেলনে পৃথিবীর কয়েকটি শহরে একযোগে নগরকৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।