ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

উপজেলা করেসপন্ডেট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০
বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি: বাংলানিউজ

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল বন্দরের জায়গা স্বল্পতায় আমদানি পণ্য খালাসে জটিলতাসহ নানা অভিযোগ এনে ভারতীয় ট্রাক চালকরা তাদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।  

সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল।

 

গত দু’দিন আগে ভারতীয় ট্রাক চালকরা ঘোষণা দিয়েছিলেন ০৭ সেপ্টেম্বর থেকে বেনাপোল বন্দরে পণ্য পরিবহন করবে বন্ধ থাকবে।  

জানা যায়, বেনাপোল বন্দরে জায়গা স্বল্পতা ও পণ্য ওঠা-নামার জন্য যে ক্রেন, ফরক্লি ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর বেশিরভাগই যন্ত্র নষ্ট থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে পণ্য ওঠা-0নামায় অনেক সময় লাগছে। এতে ভারতীয় ট্রাক চালকদের বন্দরে পণ্য খালাসের জন্য দীর্ঘ সময় বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।  

ভারতীয় ট্রাক চালকরা বাংলানিউজকে জানান, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ার কারণে তাদের (ভারতীয় ট্রাক চালক) দীর্ঘ সময় পণ্য খালাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যার কারণে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘটের ডাক দেন। তবে খুব দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

বেনাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবাসীরা বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয়রা বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এপথে বাণিজ্য বন্ধের যে হুমকি দিয়েছেন, সেটার যৌক্তিকতা আছে। উন্নয়ন নিয়ে বেনাপোল বন্দরের কোনো মাথা ব্যথা নেই।  

তারা আরও জানান, বেনাপোল বন্দরের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখানে সব সময় পণ্য থাকে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টনের মতো। অবহেলা অযত্নে খোলা আকাশের নিচে দিনের পর দিন এসব পণ্য কাদা, পানিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানানো হলেও নজরদারি কম।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, ভারতীয় ট্রাক চালকরা বন্দরের  অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে এ পথে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। তবে খুব দ্রুত এ বন্দরের সমস্যা সমাধান হবে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকদের। ফলে তারা এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।  

আব্দুল জলিল জানান বলেন, এরই মধ্যে বন্দরের বেশ কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ, পণ্যাগার বাড়ানো, চুরি রোধে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও বন্দরের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণেরও পরিকল্পনা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬  ৭ সেপ্টেম্বর) ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।