ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী পাটকল শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিজেএমসির বন্ধ ঘোষিত মিলের অবসরপ্রাপ্ত ও অবসানকৃত শ্রমিকদের পাওনা নগদ ও সঞ্চয়পত্রে পরিশোধের কার্যক্রম শুরু হলো।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ডেমরায় করিম জুট মিলসে বিজেএমসির বন্ধ ঘোষিত মিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাসহ মিল বন্ধ ঘোষণার সূত্রে অবসানকৃত শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী একথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
পাটমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে ৩০ জনের সঞ্চয়পত্র তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করা হলো। করিম জুট মিলের অবসানকৃত শ্রমিকদের (১৭৫৯ জন) পাওনা ১৯২ কোটি টাকা। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের (৬১২ জন) বকেয়া পাওনা ৩৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ও বদলি শ্রমিকদের (২৬২৫ জন) পাওনা ২৫ কোটি ২১ লাখ টাকাসহ মোট ২৫১ কোটি ৫৮ টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বন্ধ ঘোষিত ২৫টি মিলের ২৪ হাজার ৬০৯ জন স্থায়ী কর্মরত শ্রমিকের পাওনা বাবদ প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা এবং ২০১৩ সালের পর থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১০ হাজার ১০৭ জন শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ ও ছুটি নগদায়ন বাবদ পাওনা প্রায় এক হাজার কোটি টাকাসহ মোট প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা পর্যায়ক্রমে তিনটি অর্থবছরে পরিশোধের প্রস্তাব করা হলেও প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের আর্থিক দুরবস্থার কথা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে সমুদয় পাওনা চলতি অর্থবছরে এককালীন পরিশোধের সিদ্ধান্ত দেন। শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকের পাওনার ৫০ শতাংশ নগদে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র আকারে পরিশোধ করার নির্দেশনা দেন।
সরকারি সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান এবং পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি চালু মিলে কর্মরত সব স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ ও ছুটি নগদায়নসহ গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে চাকরি অবসায়ন করে উৎপাদন কার্যক্রম ১ জুলাই, ২০২০ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
জিসিজি/এএ