ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অনলাইন শপে কম মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন ক্রেতারা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
অনলাইন শপে কম মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন ক্রেতারা

ঢাকা: অনলাইন শপ থেকে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য গ্রোসারি ই-কমার্স শপগুলো কমমূল্যে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রির সুযোগ পাবে।

 

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগের কথা জানানোর পর এ বিষয়ে ঘোষণা দেয় ই-জ্যাব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখনও ৬ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবুও মিয়ানমার এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমেও কম দামে আমদানি করা এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ই-ক্যাব জানায়, সরকার থেকে পেঁয়াজ পেলে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো ক্যাম্পেইন শুরু করবে এবং শিগগিরই সরকার নির্ধারিত দামে অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে।  

ইতোমধ্যে ই-ক্যাব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি যৌথভাবে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। যার অধীনে একটি সমন্বয় ও নজরদারী কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কমিটি নির্বাচিত অনলাইন গ্রোসারি শপগুলো বিধি মেনে সরকার নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে কিনা তা তদারক করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানকে প্রধান করে এই কমিটি প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে একজন ভোক্তা অধিকার প্রতিনিধি, একজন ই-ক্যাব প্রতিনিধি, একজন অনলাইন শপ প্রতিনিধি ও একজন টিসিবি প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন।  

এছাড়া গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়টি দেখার জন্য ৩ সদস্যের আরেকটা কমিটি গঠনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর অনলাইন শপগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা ই-ক্যাব থেকে ইতোমধ্যে করোনাকালীন নিয়মিত সেবা দিয়ে মানুষের পাশে ছিলাম। এছাড়া লকডাউন এলাকায় জরুরি পণ্য সরবরাহ, আম মেলার মাধ্যমে অনলাইনে আম বিক্রয় ও ডিজিটাল কোরবানি হাটের মাধ্যমে গরু বিক্রি করে বাসায় মাংস পৌঁছে দিয়ে একদিকে নিজেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি অন্যদিকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব সময় আমাদের সঙ্গে ছিল। আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর সফলতাই আমাদের আজ পেঁয়াজের বাজারে নিয়ে এসেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের আমদানিকৃত পেঁয়াজের দশ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এর পরিমাণ কম হলেও পরে বাড়ানো হবে। আশা করা যায় ১০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ অনলাইন শপ থেকে এই কর্মসূচির আওতায় বিক্রি করা হবে। পরিস্থিতির আলোকে এ পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

অনলাইন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাদের নিজস্ব গুদামঘর, বিস্তৃত ডেলিভারি সক্ষমতা ও ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের এই সেবার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
এমআইএইচ/আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।