করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি যতটা ক্ষমতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল, ততটা এখনও হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে আমরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি উন্নতি করেছি।
দেশে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে রপ্তানি খাতও। হিসাব করে দেখা গেছে, এ অর্থবছরের গত কয়েক মাসে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও গত দুই মাসে পাট খাত থেকে রপ্তানি আয় বড় আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশ পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে ১৯৫.৪ মিলিয়ন ডলার এনেছে। এই সংখ্যাটি এক বছর আগের এই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরে ৮৮২ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলারে পণ্য রপ্তানি করে সংকটে পড়া চামড়া খাতকে পেছনে ফেলে তৈরি পোশাকের পরের স্থান দখল করে নিয়েছে পাট খাত। গত অর্থ বছরে চামড়া রপ্তানি হয়েছিল ৭৯৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের।
করোনা ভাইরাসের কারণে গেল অর্থবছরে তৈরি পোশাকসহ বড় সব খাতের রপ্তানি আয়ে ধস নামলেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ে বরাবরই দেখা গেছে উল্টো চিত্র।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ১৯৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার এসেছে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ পাট স্পিনারস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি শহীদুল করিম বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে গত দুই মাসে পাট রপ্তানি বেড়েছে। এছাড়া কাঁচা পাট ও পাটজাত দ্রব্য থেকে রপ্তানি আয়ও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০-২১
নিউজ ডেস্ক