ঢাকা: ক্রেতা সংকটে রয়েছেন রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা। তারা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিন ধরে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতারা চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ কিনেছেন।
আর ক্রেতারা জানাচ্ছেন, পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। এর আগেও একবার এমনটা হয়েছিল। তাই অনেক ক্রেতা পেঁয়াজ আগেই কিনে রেখেছেন আর বাকিরা সর্বশেষ অবস্থা পর্যন্ত অপেক্ষায় আছেন।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজিদরে, দেশি কিং পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ (এলসি) বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিদরে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১শ টাকা কেজিদরে, দেশি কিং বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজিদরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিদরে।
এদিকে পেঁয়াজের বাজারে উল্লেখযোগ্যকহারে কমেছে ক্রেতা। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় ক্রেতারা বেশি কেনায় তারা বাজারমুখি হচ্ছেন না। আর ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ পরিস্থিতির শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেই তারা বাজারে যাবেন।
এ বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মোশারফ বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজবাজারে ক্রেতা কমে গেছে এটা সত্য। অনেকের পেঁয়াজ প্রয়োজন এককেজি সে কিনেছেন ১০ কেজি। ফলে পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের কয়েক মাস বাজারে আসা লাগবে না।
খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা হাসি বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম এর আগে অনেক হয়েছে। দাম বাড়ার ভয়ে অনেক ক্রেতাই বেশি করে কিনে নিয়েছেন। এখন বেচা-বিক্রি অনেক কমে গেছে।
তবে, বিক্রেতাদের সঙ্গে একমত না আলী হোসেন নামে এক ক্রেতা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এর আগেও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। তাই অনেক ক্রেতাই আগেভাগেই চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ কিনে রেখেছেন। আর বাকিরা সর্বশেষ অবস্থা পর্যন্ত অপেক্ষায় আছেন। পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি কমলে আবার আমরা বাজারমুখি হবো।
এদিকে অপরিবর্তিত আছে মসলাজাতীয় পণ্য কাঁচামরিচ, আদা ও রসুনের দাম। এখন কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিদরে। চায়না আদা ২৪০ টাকা, কেরালা আদা ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
ইএআর/এএটি