ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হওয়ায় সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতি পোষাতে ও সিএমএসএমই’র দক্ষতা উন্নয়নে সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থাপনা কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ফ্রেডরিক ন্যুমেন ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাপ্লাইচেইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক অনলাইন ভিত্তিক কর্মশালায় এসব কথা বলেন খাত সংশ্লিষ্ট ও উদ্যোক্তারা।
ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ জানান, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত জিডিপিতে ৩২ শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রায় ২.৪৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারা বিশ্বে মানুষের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় লকডাউন চলাকালে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হওয়ায় আমাদের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, ডিসিসিআই পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ৪০ শতাংশই মনে করছেন, কোভিড মহামারির কারণে তাদের ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাপ্লাই চেইনে সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেন তিনি।
এফএনএফ বাংলাদেশ’র আবাসিক প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়কালে স্থানীয় ও বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা টিকিয়ে রাখার জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন।
কনসালট্যান্ট ও কর্পোরেট ট্রেইনার শংকর কুমার রায় বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিএমএসএমই খাতের অবদান অনস্বীকার্য। তবে দক্ষ জনবল, পুরোনো প্রযুক্তি, প্রয়োজনীয় তথ্যের অপর্যাপ্ততা, অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা এবং শুল্ক বৈষম্যের কারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
ইএআর/এমজেএফ