ঢাকা: দেশের বাজারে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তা আর কমতে চায় না। বিশেষ করে নানা অজুহাতে বাড়তি দামে বিক্রি হতে থাকে খুচরা বাজারে।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। তবে অপরিবর্তিত আছে আদা ও রসুনের দাম।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, কমলাপুর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কাঁচা বাজার, খিলগাঁও ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ও আমদানি করা এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিদরে। আর শ্যামবাজার পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা ও আমদানি করা এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫১ টাকা কেজিদরে।
দামের ভিন্নতা নিয়ে খিলগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী মাসুম বলেন, আমাদের আগের পেঁয়াজ কেনা আছে, এখন বলা যায় লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। এরমধ্যে কিছু পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এসব বাজারে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। আর ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিদরে।
কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী আলতাফ বলেন, কাঁচা বাজারে দাম সবসময় পরিবর্তন হয়। মালামালের সরবরাহ কম হলে দাম বেড়ে যায়। এখন বাজারে কাঁচা মরিচ কম সরবরাহ হচ্ছে তাই দাম বেশি।
অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে আমদানি করা প্রতিকেজি চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও কেরালা আদা ১৬০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত আছে রসুনের বাজার। এসব বাজারে বর্তমানে রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
** দাম বেড়েছে চালের, অপরিবর্তিত সবজি-মাছ-মাংস
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
ইএআর/আরবি/