ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে মাছ-মুরগির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
দাম বেড়েছে মাছ-মুরগির মাছ বাজার। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সব ধরনের মাছের। ইলিশ মাছের দাম চড়া হওয়ায় অন্য সব মাছের দাম বাড়ানো হয়েছে দাবি ক্রেতাদের।

আর বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ নদীতে কম ধরা পড়ায় দাম তুলনামূলক একটু বাড়তি থাকে।

অন্যদিকে ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতো থাকলেও দাম বেড়েছে সব ধরনের মুরগির।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর ফকিরাপুল, টিঅ্যান্ডটি বাজার, কমলাপুর, বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি কেজি শিং মাছের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। আর প্রতিকেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, মিররর কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এককেজি কাঁচকি ও মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩৮০ থেকে ৫৫০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ও গলদা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

এদিকে ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতো থাকলেও দাম বেড়েছে মুরগির। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৮০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের বাজার। এসব বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে  প্রতিকেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজিদরে।

মাছের দাম বাড়া নিয়ে টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা হামিদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ নদী বা খাল-বিলে কম ধরা পড়ে। এ সময় ইলিশ মাছ সাগরে চলে যায়। এতে বাজারে মাছ কম আসে দামও বেশি থাকে। আর ইলিশের দাম বাড়ার সঙ্গে অন্য মাছেরও দাম বেড়ে যায়।

এ বিক্রেতার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ এ বাজারের ক্রেতা সারা বলেন, বাজারে ইলিশ কম থাকলেও অন্য সব মাছের সরবরাহ বেশি। তবে কেন দাম বেশি হবে। মাছের সরবরাহ কম হলে দাম বেশি সেটা মেনে নেওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
ইএআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।