ঢাকা: ২০৩০ সালের মধ্যে সব নাগরিককে বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং স্বচ্ছ ও নির্ভুল ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায়’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) এটিসহ একনেক সভায় মোট ১০ হাজার ৭০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে প্রকল্পের সার্বিক বিষয় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম।
প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা হবে। ডাটা সেন্টার ও ডিজাস্টার রিকভারি সাইটের বিদ্যমান সার্ভারকে অধিকতর দক্ষতাসম্পন্ন নতুন সার্ভারের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
চলতি অর্থবছর থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) ডাটাবেজকে সম্প্রসারিত করা হবে। এর মাধ্যমে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, সুরক্ষিত ও আদর্শ ডেটাবেজে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের সব নাগরিককে ইউনিক আইডির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সব সুপারিশ মেনে নির্বাচন কমিশন থেকে ৮৭৬ জনের পরামর্শক সেবার ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ২৮ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সুপারিশে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার এই রুটিন কার্যক্রম প্রকল্পের মাধ্যমে না করে রাজস্বখাত থেকে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পের সব পর্যায়ে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করে যথাযথ আর্থিক স্বচ্ছতা রক্ষার বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে।
এনআইডি ডাটাবেজ সম্প্রসারিত করে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, সুরক্ষিত ও আদর্শ ডেটাবেজ রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব নাগরিককে ইউনিক আইডির আওতায় নিয়ে আসা হবে। নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতা আনয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারি প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
এমআইএস/এএ