ঢাকা: নরওয়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা নরওয়ের।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) সরকারি বাসভবনের অফিস থেকে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ইসপেন রিকটার এসভেনডসেনের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১শটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্সসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, নরওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। নরওয়ে বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফরের মাধ্যমে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। নরওয়েতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়াও ওষুধ, সিরামিক পণ্য, ফার্নিচার, হিমায়িত মৎস্য, চামড়াজাত পণ্য এবং হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য করার সুযোগ রয়েছে, এই রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ পণ্যের একটি বড় বাজার। পার্শ্ববর্তী চীন ও ভারতও পণ্যের বড় বাজার। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য এসব দেশে রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল পরিমান দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এখানে তুলনামূলক কম মূল্যে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলভাবেই কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হবে, যা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নতিতে নরওয়ে খুশি। বাংলাদেশে নরওয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। নরওয়ে টেলিফোনখাতে বড় বিনিয়োগ করেছে। নরওয়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা নরওয়েতে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা খুবই আকর্ষণীয়। আগামীতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বসে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে। উভয় দেশের সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ নরওয়েতে ৬৮ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৫১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
জিসিজি/এএটি