ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারি ক্রয়ে এসএমইদের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
সরকারি ক্রয়ে এসএমইদের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসএমইদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনে কোটা ব্যবস্থা অন্তভুর্ন্তিকরণের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এসএমই উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন এবং করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখবে।

 

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) এসএমই উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত দেশীয় পণ্য ব্যবহারে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে অনলাইনে সোশ্যাল ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় কোলেটারালের বাধ্যবাধকতা ও অন্য শর্তসমূহ শিথিল করে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় প্রণোদনার অর্থ মঞ্জুরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনা প্রয়োজন। করোনাকালীন পণ্য বিপণন সুবিধা সম্প্রসারণে এসএমই উদ্যোক্তা এবং ক্রেতাদের মধ্যে লিঙ্কেজ শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমই ফাউন্ডশেন এবং বিসিক উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের এসব উদ্যোগের ফলে শিল্পখাতে নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বিভিন্ন দেশের পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি আয়ত্ত করার পাশাপাশি দেশি-আন্তর্জাতিক ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের গুণগত মান উন্নত করা যেমন জরুরি, তেমনি এসএমইদের পণ্য বিপণনের সুবিধা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, দেশী ফ্যাশন ডিজাইনাররা বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন করেন। তাই সরকারি কেনাকাটায় এসএমই উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হলে দেশী পণ্যের ব্যবহার বাড়ার ক্ষেত্রে তা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ বিতরণ কার্যক্রমে এসএমই ফাউন্ডেশনকে যুক্ত করতে সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে উদ্যোগ নেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এদিকে করোনায় এসএমই উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দেশি পণ্য ব্যবহার বাড়ানোর প্রচারণা শুরু করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
জিসিজি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।