ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কোভিডের পরের ৪ বছর ব্যাংকের মুনাফা কমবে 

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
কোভিডের পরের ৪ বছর ব্যাংকের মুনাফা কমবে 

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ ব্যাংক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরবর্তী আরও চার বছর মুনাফা করতে পারবে না। ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্বল্প সুদের কারণে ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার মুনাফার ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি একই সময়ে মন্দ ঋণের জন্য ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।



আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনজি অ্যান্ড কোম্পানির গবেষণা এসব তথ্য উঠে এসেছে।  

বিশ্বব্যাপী পরিচালিত পরামর্শ সংস্থা ম্যাককিনজি অ্যান্ড সংস্থা হলো আমেরিকান। ১৯২৬ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস ও ম্যাককিনজি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি কর্পোরেশন, সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোকে কৌশলগত পরিচালনার বিষয়ে পরামর্শ দেয়।  

মহামারির করোনার কারণে সৃষ্ট মন্দা থেকে পুনরুদ্ধারে ‘বিশ্বব্যাপী নীরব পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক একটি কেস স্টাডির মাধ্যমে গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই ধারণা বা পূর্বাভাস দিয়েছে।  

এতে বলা হয়েছে, ওই চার বছরে যে পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হবে তা সাধারণ সময়ে মাত্র ছয়মাসে আয় করতো ব্যাংকগুলো। বিশ্বব্যাপী মুনাফা অর্জনের মূল মাপকাঠি মূলধন থেকে সুদ আয় ২০১৯ সালে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ থাকলেও ২০২১ সালে তা ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
 
বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের উৎপাদনশীলতা এবং মূলধন ব্যবস্থার উন্নতি করতে না পারলে আগামী পাঁচ বছরেরর জন্য তাদের লাভজনক অবস্থা ২০১৯ সালের সুচকেও ফিরে যেতে পারবে না। এই সময়ে সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হতে পারে অনেক ব্যাংককে একীভূতও করা।

গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য কৌশিক রাজগোপাল বলেছেন, এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য ব্যাংকগুলোতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর আবশ্যকতা রয়েছে। তবে ম্যাককিনজি যে ভবিষ্যত বাণী দিয়েছেন তাতে ব্যাংকগুলোকে উৎপাদনশীলতার উন্নতি করতে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কম খরচে গ্রাহককে নতুন পণ্য দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে অধিক মূল্যবান কোম্পানির প্রযুক্তি সঙ্গে জনশক্তি দিয়ে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় এবং অন্যতম লাভজনক ব্যাংক জেপি মরগান চেজ অ্যান্ড কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমন প্রতিযোগিতামূলক কোম্পানি হিসেবে গুগল, পেপাল, স্ট্রাইপ এবং স্কোয়ারকে হুমকি হিসেবে উদ্ধৃত করেছেন।

করোনা মহামারি অনেক ব্যাংককে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলেও ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের তুলনায় কোভিড-১৯ সময়েও ব্যাংকগুলোর কাছে বেশি মূলধন রয়েছে।  

ম্যাককিনজি এখন অনুমান বা ধারণা করছে যে, মাত্র ৭ শতাংশ ব্যাংক ২ দশমিক ৭ শতাংশ শিল্প মূলধনের প্রতিনিধিত্ব করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলতে ৫০ শতাংশ ব্যাংকের মূলধন প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।