ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইনকিউবেশন সেন্টারে উদ্যোক্তাদের সহায়তার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
ইনকিউবেশন সেন্টারে উদ্যোক্তাদের সহায়তার আহ্বান

ঢাকা: ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারে নতুন উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানান তিনি।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে অনলাইনে জুম প্ল্যাটফর্মে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে খসড়া কৌশলপত্র চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসএমই নীতিমালা-২০১৯ এর আওতায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থপ্রাপ্তি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, বাজারে প্রবেশ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ব্যবসায় সহযোগিতা এবং তথ্যের সুযোগ নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে। অর্থনীতির সম্ভাব্য সকল পর্যায়ে দেশীয় পণ্য আরও অধিক পরিমাণে ব্যবহারের জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান শিল্প প্রতিমন্ত্রী।

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী বলেন, এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ খাতের ডাটাবেজের অভাব অনুভূত হয়। এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের একটি ডাটাবেজ তৈরির জন্য তিনি এসএমই ফাউন্ডেশনকে আহ্বান জানান।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও তাদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতেএসএমই খাত বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

কর্মশালায় ন্যাশনাল ইনকিউবেশন স্ট্র্যাটেজির ওপর আলোচনা করেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ইনকিউবেশন বিশেষজ্ঞ হুলিয়া টেটিক বলেন, এডিবি-র আর্থিক সহয়তায় ইতোমধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে দুটি পাইলট ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো হবে উদ্যোক্তা উন্নয়নের সূতিকাগার।

কর্মশালায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. এম করিম সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকিউবেশন কেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সকল ইনকিউবেশন সেন্টারের মাঝে সমন্বয়ের আহবান জানান।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিম উল্লাহ বলেন, বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইনকিউবেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ইনকিউবেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্টের (বিআইআইডি) সিইও শহীদ উদ্দিন আকবর গ্রামাঞ্চলে এসএমই খাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল এক্সপার্ট রাশেদ আল হাসান বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মিত ঢাকা ও চট্টগ্রামে স্থাপিত ইনকিউবেশন সেন্টার সফলতার সাথে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।