ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ সবাইকে আদর্শ ও চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ সবাইকে আদর্শ ও চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ সবাইকে আদর্শ ও চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে

ঢাকা: বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ দেশের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের’ প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।

ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সব আন্দোলনে-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক ও অবিসংবাদিত নেতা। একইসঙ্গে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন কৃষি ও কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু। বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রথমেই গুরুত্ব দেন কৃষি উন্নয়নের কাজে। ডাক দেন সবুজ বিপ্লবের। ফলে, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে যেমন আছেন, তেমনি বাংলার আকাশে বাতাসে আছেন। এ দেশের সবুজ শ্যামল ভূমির প্রতিটি কণা, শস্যখেতসহ সবক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি প্রতিকৃতি আমরা দেখতে পাই। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধুকে ফসলের খেতে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রে তুলে ধরেছি। এটা অসাধারণ একটা শিল্পকর্ম। এর মাধ্যমে দেশের সব মানুষ সশরীরে বা গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে শস্যখেতে দেখতে পারবে। আমি মনে করি, এটি দেখে বর্তমান প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মসহ সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও চেতনায় অনুপ্রাণিত হবে। ’

রোববার (১৪ মার্চ) কৃষিমন্ত্রী শেরপুরে বালেন্দা গ্রামে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা আয়তনের ধানখেতে ফুটিয়ে তোলা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ এখন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে স্বীকৃতির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সব সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক ও অবিসংবাদিত নেতা। তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথেই অগ্রসর হচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আলোকবর্তিকা এখন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে মর্যাদা ও সম্মানের এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন। তার নেতৃত্বেই আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতিতে রূপান্তর করবো। ’

শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার মো. আলী আশরাফ ভূইয়া, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগিবুল হাসান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
এমআইএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।