ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘মোস্ট প্রগ্রেসিভ অর্গানাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেলো আইপিডিসি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
‘মোস্ট প্রগ্রেসিভ অর্গানাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেলো আইপিডিসি


ঢাকা: পঞ্চম উইমেন লিডারশিপ সামিট এবং ষষ্ঠ ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এর ‘মোস্ট প্রগ্রেসিভ অর্গানাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে কেন্দ্র করে গত ৮ থেকে ৯ মার্চ, উইমেন ইন লিডারশিপ (ডব্লিউআইএল) কর্তৃক আয়োজিত হয় তৃতীয় উইমেন ইন লিডারশিপ ফেস্ট, যার একটি অন্যতম অংশ ছিল ৬ষ্ঠ ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড (আইডব্লিউএ)।

এর উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টরের অনুপ্রেরণাদায়ী নারীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি প্রদান করা এবং এর মাধ্যমে নারীদের জন্য অনুসরণীয় রোল মডেলদের তুলে ধরা।  

ওই সামিট এবং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি ২৩-২৪ মার্চ (মঙ্গলবার-বুধবার) বিকাল ৩টায় ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি ২৪ মার্চ রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।

‘মোস্ট প্রগ্রেসিভ অর্গানাইজেশন’ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তি আইপিডিসি-র জন্য বয়ে এনেছে গৌরব। নারীবান্ধব কার্যনীতি প্রণয়ন, নারী কর্মীদের ক্যারিয়ার গঠনে সমর্থন প্রদান এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে প্রয়োজনীয় একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ইত্যাদি সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাওয়ার্ড লাভ করে আইপিডিসি। বিগত ১০ বছরে আইপিডিসিতে নারী কর্মীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।  

গত ৬ বছর আগেও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটিতে মাত্র ১ জন নারী সদস্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে ব্যবস্থাপনা কমিটির ১১ জন সদস্যের মধ্যে নারী সদস্য ৪ জন যারা চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার, হেড অব আইটি ও বিজনেস ট্রান্সফর্মেশন এবং হেড অব রিটেইল বিজনেস-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত। ৫৮২ জন স্থায়ী কর্মীদের মধ্যে ১২১ জন কর্মী নারী, যা সর্বমোট স্থায়ী কর্মীদের ২০ দশমিক ৮ শতাংশ।  

প্রতিষ্ঠানটি নারী কর্মীদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে কাজের সমান সুযোগ, সুবিধাজনক কর্ম ঘণ্টা, প্রয়োজনে বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ, মাতৃত্বকালীন যথাযথ সহযোগিতা প্রদান, পুরুষ কর্মীদের আচরণগত নীতিমালা প্রণয়ন, স্বাস্থ্য সুবিধা ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য সুবিধাদি।  

নারী ক্ষমতায়নে আইপিডিসির গুরুত্বারোপের একটি অন্যতম উদাহরণ ‘সুষমা’ নামক প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির নারী কর্মীরা তাদের ব্যক্তিগত, পেশাগত এমনকি সাধারণ যেকোনো পরামর্শ ছাড়াও যেকোনো প্রয়োজনে নারী নেত্রীদের শরণাপন্ন হতে পারেন। ‘আমিও’ শীর্ষক একটি ১৬ দিনব্যাপী বৈশ্বিক কার্যক্রমেরও অংশীদার আইপিডিসি। এই কার্যক্রমের অধীনে মূলত লিঙ্গ বৈষম্য বা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার কবলে পরা নারীদের গল্পগুলো তুলে ধরা হয়। সকল স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে নারী কর্মীদের জন্য আলাদা প্রার্থনাকক্ষ ও শৌচাগারের ব্যবস্থাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

কর্মক্ষেত্রে ‘ডাইভার্সিটি’র সংস্কৃতিকে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আইপিডিসি। অন্তর্ভুক্তিমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নীতি অনুসরণ; সন্তানের দেখাশোনাকে বাধাগ্রস্ত না করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নারীদেরকে যথাযথ সুবিধা প্রদান, নারীদেরকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে উপদেশ ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ প্রদান এবং পেশাগত কাজে তাদের অনুপ্রেরণা বজায় রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রাখা আইপিডিসির অন্যতম কিছু পদক্ষেপ।

আইপিডিসির সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মমিনুল ইসলাম বলেন, আইপিডিসিতে আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে রেখেছি যেখানে লিঙ্গ বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ কোনো একজন ব্যক্তির দায়িত্ব নয় বরং প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সদস্যেরই এই বিষয়ে অবদান রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা বজায় রাখার এই প্রাতিষ্ঠানিক মানসিকতার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে দেশের পুরো পেশাক্ষেত্রেই আমরা ইতিবাচক উদাহরণ গড়তে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।