ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে মুরগি-সবজির দাম, কমেছে পেঁয়াজের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২১
বেড়েছে মুরগি-সবজির দাম, কমেছে পেঁয়াজের

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মুরগি, ডিম ও সবজির। তবে দাম কমেছে পিয়াজের।

অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্যতেল, চালসহ অন্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি শালগম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করল্লা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। মিষ্টি কুমরার কেজি ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। কেজিতে ১০ টাকা কমে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা।

হালিতে ৫ টাকা বেড়ে কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। খিরাই ৪০ থেকে টাকা। শসা ৪০ টাকা। মটরশুঁটির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি সিসিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর দাম বেড়ে হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

এছাড়াও মরিচ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০ থেকে ৬০ টাকা, আদা ৬০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

৫ টাকা দাম বেড়ে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমে ডজন এখন ১৩৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।

প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) মুরগি ৩৩০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। লেয়ার মুরগি কেজি ২০০ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১,০০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইর মাছ ৫০০, রিডা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, গুড়া বেলে ১২০ টাকা, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. সামীম বাংলানিউজকে বলেন, খুচরা বাজারে মুরগির দাম চড়া যাচ্ছে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মুরগি অনেক কম।

প্রথমত খামারগুলোতে মুরগির উৎপাদন কম। এরপরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বনভোজন বিয়ের কারণেও বাড়তি চাহিদা থাকায় খুচরা বাজারে মুরগির দাম চওড়া যাচ্ছে। আশা করছি রমজান মাসে মুরগির দাম কমে আসবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২১
এমএমআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।