ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসছে শতভাগ ভাতা: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসছে শতভাগ ভাতা: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা: ‘করোনা মহামারির কারণে সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠী সংকটের মধ্যে আছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীরা যাতে যথাসময়ে ভাতা পায় সেজন্য জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা দেওয়ার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

চলতি অর্থবছরেই শতভাগ ভাতাভোগীকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হবে।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৮ কোটি ৫০ লাখ উপকারভোগীর ভাতা ‘জিটুপি’ পদ্ধতিতে সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে পাঠানোর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এসব কথা বলেন।

সভায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আখতার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ ও বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রায় এক কোটি লোক বিভিন্ন ভাতার আওতায় রয়েছে। করোনা মহামারিকালীন এ বিশাল সংখ্যক ভাতাভোগীদের মধ্যে যথাসময়ে ভাতা পৌঁছাতে হবে। ভাতাভোগীরা যাতে কোনো ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই যথাসময়ে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ভাতা পায় সেজন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি চলাকালীন প্রায় এক কোটি ভাতাভোগীর সব তথ্য যাচাই করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনা একটি চ্যালেঞ্জ, এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা দেওয়ার সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।  
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত হলে লোকজন নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডসমূহকে জরুরি সেবার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্ব কম্পমান। বিগত বছরে করোনা মহামারিতে আমরা নাজুক হয়ে যাইনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও আমাদের দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়নি। আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বে আলোচিত নেতৃত্ব হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।