ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইলিশ নেই, তাই আড়তে বসে আড্ডা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৯, জুলাই ১৫, ২০২১
ইলিশ নেই, তাই আড়তে বসে আড্ডা ছবি: বাংলানিউজ

চাঁদপুর: ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ নামে খ্যাত পদ্মা-মেঘনা নদীতে এখন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং রাতে নদীতে চষে বেড়াচ্ছেন জেলেরা।

তবে আগের মতো মিলছে না ইলিশ। অনেক জেলে সামান্য সংখ্যক ইলিশ পেলেও সাইজে ছোট। আবার কেউ ফিরছেন খালি হাতে। যার কারণে চাঁদপুর সদরের অন্যতম হরিণা মাছঘাটের ইলিশ আড়তগুলোতে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে হরিণা ইলিশ আড়তগুলোর অধিকাংশই ফাঁকা দেখা গেছে। কয়েকটি আড়তে স্বল্প সংখ্যক ইলিশ দেখা গেছে। পাশাপাশি আইড়, পাঙাস ও রিটা মাছও আছে। সব মাছেরই সংখ্যা খুবই কম।

চাঁদপুর শহরের বিপণিবাগ বাজারের একাধিক খুচরা মাছ বিক্রেতা বসে আছেন আড়তে। তাদের উদ্দেশে নদী থেকে জেলেরা তাজা ইলিশ আহরণ করবে, তারা ক্রয় করে নিয়ে শহরে বিক্রি করবে। কিন্তু ইলিশ না পাওয়ায় অনেকেই শহরে খালি হাতে ফিরে যেতে হবে। এর মধ্যে একজন জানালেন, সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি খুচরা অল্প অল্প করে মাত্র ৫ কেজি ইলিশ ক্রয় করেছেন।

হরিণা মাছঘাটের প্রবীণ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুম খুবই কাছে। তবে এ বছর ভোলা ও বরিশালে ইলিশের আমদানি হলেও চাঁদপুরে নেই। জেলেরা প্রতিদিনই জ্বালানি খরচ করে নদীতে নামছে, তবে ইলিশ খুবই কম পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে আমাদের আড়তগুলো এখন পুরোই ফাঁকা। তবে পানি আরও বাড়লে এবং বৃষ্টি হলে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বাংলানিউজকে বলেন, চলমান মৌসুমে যে পরিমাণ মাছ থাকার কথা ওই পরিমাণ ইলিশ আসছে না। মৌসুম অনুযায়ী ওই পরিমাণ মাছ হয় নাই।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কয়েকদিন ভোলা হাতিয়া ও মনপুরা উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মণ ইলিশ একদিনে আমদানি হয়েছে। আমাদের লোকাল পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ নেই। তবে এখন কিছু মাছ পাচ্ছেন দক্ষিণ অঞ্চলের জেলেরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।