ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফের উৎপাদনে আসছে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
ফের উৎপাদনে আসছে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল

ঢাকা: আলিফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিমুল ইসলাম বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি থেকে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলে পুনরায় উৎপাদনে শুরু হবে। মূল সমস্যা এখনও গ্যাস সংযোগ হয়নি।

আশা করি এর সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি জানান, সি অ্যান্ড টেক্সটাইল পরিচালকের হাতে মাত্র ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির চালু করতে প্রাথমিকভাবে ৩০ থেকে ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

সোমবার (১ নভেম্বর) গুলশান ক্লাবে 'বিনিয়োগকারীর স্বার্থ সুরক্ষায় সি অ্যান্ড টেক্সের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালে ওয়েল ট্রেডিং কোম্পানির মধ্য দিয়ে দেশে ব্যবসা শুরু করে আলিফ গ্রুপ। সেখান থেকে তৈরি পোশাক, বস্ত্র, সুতা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আবাসন খাত, প্রযুক্তিসহ নানা খাতে আমাদের ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। বর্তমানে বছরে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই। যদিও বিগত ৫ বছর ধরে কোম্পানিটি বন্ধ রয়েছে। দায়দেনা রয়েছে ২৫০ কোটি টাকার। জানি এ কোম্পানিকে দাঁড় করানো খুব কঠিন। তবু, আমাদের দক্ষতা ও এই শিল্প পরিচালনার অভিজ্ঞতা দিয়ে কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ৭ অক্টোবর বিশেষ কিছু শর্তে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল অধিগ্রহণের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মধ্যে ব্যাংকের দায়দেনা পরিশোধ, গ্যাস লাইনসহ অন্যান্য ইউটিলিটিগুলোর সংযোগ স্থানান্তরের মতো নানা শর্ত রয়েছে।

সি অ্যান্ড এ টেক্সের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন,

গত পাঁচ ধরে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সুদসহ ব্যাংকের দেনা ২৫০ কোটি টাকা। সুদ ছাড়া দেনা ২২ কোটি ৫০ হাজার টাকা। এখানে কিছু অব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি রয়েছে এবং কিছু যন্ত্রপাতির কোনো খোঁজ নেই। আবার কিছু যন্ত্রপাতি এখনও ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি। এছাড়া গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বন্ড লাইসেন্স স্থগিত, সম্পদ বণ্টনে অসামঞ্জস্যতা এবং বর্তমান উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে মাত্র ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আজিমুল ইসলাম আরও বলেন, কোম্পানিটি চালু করতে প্রাথমিকভাবে ৩০ থেকে ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এজন্য শিগগিরই একটি শেয়ার মানি ডিপোজিটি অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। যেখানে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসাবে বেঁধে দেওয়া অর্থ জমা রাখা হবে। এই অর্থ ব্যাংক ঋণ নিয়মিতকরণে ব্যবহার, ফ্যাক্টরি ও যন্ত্রপাতির বিএমআরইতে ব্যয়, পুনরায় গ্যাস লাইন চালু, বন্ড লাইসেন্স স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে ব্যয় এবং কোম্পানির কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে ব্যয় হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।