ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যবসায় হয়রানির অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
ব্যবসায় হয়রানির অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিকদের

ঢাকা: ব্যবসার ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানি করা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশের রেস্তোরাঁ মালিকরা। তারা এ হয়রানি রোধ, রেস্তোরাঁ খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং এ খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সামনে এগিয়ে নিতে একটি ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ৩৩তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের (বর্ধিত) সভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা।

সভায় সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, বর্তমানে রেস্তোরাঁ খাত পরিচালনার জন্য প্রায় ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এই ১১টি সংস্থা থেকে প্রতিবছর নতুন করে লাইসেন্স নিতে বা নবায়নে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা অনেক হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। আমরা মনে করি এতোগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছে না গিয়ে ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের মত একটি মন্ত্রণালয়/সংস্থা/ অধিদপ্তর থেকে সব অনুমতি দেওয়া হোক। অবিলম্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে একটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। নবায়নের ক্ষেত্রে সব ছাড়পত্র প্রতি বছরের পরিবর্তে তিন বছর মেয়াদি করা হোক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্প খাতের মধ্যে অন্যতম রেস্তোরাঁ খাত। এ খাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। সরকারি হিসেবে দেশে ৪ লাখেরও বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেখানে ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। কৃষি, পর্যটন, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সব ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখছে এই খাত। কিন্তু সরকারিভাবে রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা না দেওয়ায় চরম অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রেস্তোরাঁ মালিকরা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে সারা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন আমলারা। সরকারি সাতটি সংস্থা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার।

আলোচনায় সমিতির নেতারা বলেন, সারা বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে যে কোনো রেস্তোরাঁ ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে, যাতে কোনো ব্যবসায়িক বৈষম্য থাকবে না। এতে ব্যবসায় অসম প্রতিযোগিতা হবে না।

সভায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, প্রথম যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম সুমন, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১,২০২১
এসই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।