ঢাকা: দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের ই-কমার্স উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা শুরু হলো ওয়ালকার্ট লিমিডেটের।
‘সহজে, সবখানে, নিরাপদে’ স্লোগানে একটি বিশ্বস্ত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গ্রাহকের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্য ওয়ালকার্টের।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষে রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে গ্রান্ড ওপেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। জাঁকালো ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়ালকার্টের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) প্রেসিডেন্ট শহীদ-উল মুনির, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) প্রেসিডেন্ট ওয়াহেদ শরীফ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী, ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম রেজাউল আলম এবং তাহমিনা আফরোজ তান্না, ওয়ালকার্টের চেয়ারম্যান এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাবিহা জারিন অরনা, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘ওয়ালকার্ট ডটকম’ (https://walcart.com) মূলত একটি বিটুবি এবং বিটুসি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী ডেলিভারি সেবা দিচ্ছে। এখানে রয়েছে ওয়ালটনের পণ্যসহ ৩০টিরও বেশি ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা। এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সারা দেশের হাজারো সেলার সংযুক্ত আছে।
ওয়ালকার্টের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা দিয়ে গ্রাহক-সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ ই কমার্স প্রতিষ্ঠান হওয়া। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সব থেকে বড় অনলাইন সেবা ও ডেলিভারি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা এবং তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আমরা ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দিতে পারছি। দেশের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। আমরা আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদনকারী দেশ এবং সেখান থেকে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি। এক্ষেত্রে ওয়ালটন যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়। যার এক-পঞ্চমাংশ ওয়ালটনের কাছ থেকে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
তিনি বলেন, সরকার নিজে ব্যবসা করছে না বরং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে ওয়ালটন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে ওয়ালটন তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ইকোনমিতে অবদান রাখছে। করোনাকালে ওয়ালটন কর্মী তো ছাঁটাই করেনি বরং পাঁচ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। তারা ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের গর্ব ওয়ালটন। তারা যখন ই-কমার্স খাতে এমন একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়ে এসেছেন, তখন নিঃসন্দেহে বলতে পারি এ খাতেও গ্রাহক তাদের কাঙ্খিত সেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ চমক হিসেবে ‘প্রিমো এসএইট’ মডেলের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের টেকনিক্যাল রিভিউ দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। তার উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ওয়ালকার্টের ওয়েবসাইট থেকে ফোনটির অর্ডার দেন। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিমন্ত্রীকে ফোনটি ডেলিভারি দেওয়া হয়।
এ সময় গোলাম মুর্শেদ বলেন, আইসিটি খাতে রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশ সরকারের যে লক্ষ্য এবং ওয়ালটনের কাছে যে প্রত্যাশা তা আমরা অবশ্যই পূরণ করবো। ওয়ালকার্ট বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অনুযায়ী কাজ করবে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা বিশ্বজুড়ে নিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
আরআইএস