বরগুনা: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বরগুনার মৎস্য বন্দর থেকে সড়ক পথে সাত ঘণ্টায় রুপালি ইলিশ যাচ্ছে রাজধানীতে। এরপর থেকেই স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে পৌর মাছ বাজারে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠেছে ইলিশের বেচাকেনা। তবে চাহিদার তুলনায় কম ইলিশ রয়েছে বাজারে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছোট-বড় বাজারে ইলিশ মাছ যাওয়ায় কারণে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ইলিশের দাম বেড়েছে। ইলিশের দাম মণ প্রতি (৪০ কেজি) ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি বড় উৎস এই বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র। গভীর সমুদ্রে ধরা ইলিশ রয়েছে প্রচুর। পাশাপাশি পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর ধরা ইলিশের সরবরাহও রয়েছে গত মৌসুমের তুলনায় একটু বেশি। তবে চাহিদা বেশি বিষখালীর ইলিশের। সাইজ অনুযায়ী প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-১৯০০ টাকা দামে। ভরা মৌসুমে সাগর, নদীতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ইলিশের অন্যতম ক্ষেত্র পায়রা ও বিষখালী নদীতেও জেলের জালে উঠে আসছে রুপালি এ মাছ।
স্থানীয় তিনটি নদী থেকে আহরিত ইলিশ বিক্রি হচ্ছে বরগুনা পৌর বাজার, আমতলী, তালতলী, বেতাগী ও পাথরঘাটার মৎস্য আড়তগুলোতে। মৎস্য আড়তে বেড়েছে ইলিশ মাছের সরবরাহ। তবে সরবরাহ থাকলেও দাম বেশ চড়া বলছেন স্থানীয় ক্রেতারা।
বাজারে এসেছেন মোবাইল সার্ভিস সেন্টারের টেকনিশিয়ান মো. রশিদ ফরাজী তিনি বাংলানিউজকে জানান, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। বেশির ভাগ মানুষের কাছে ইলিশ এই মুহূর্তে বিলাসিতার পণ্য। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বাজারের ইলিশের সরবরাহ কম দেখা গেছে। দাম কিছুটা চড়া দেখা গেছে। ‘আমার মতো লোকও দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। বিক্রেতারা বাংলানিউজকে বলছেন, আমদানি থাকলেও চাহিদা বেশি তাই দামও বেশি। আমদানি আরও বাড়লে দাম কমবে বলে জানান তারা। তবে সাগরের মাছের তুলনায় নদীতে ধরা মাছের দাম বেশি।
এদিকে জানা যায়, ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৬০ টাকা, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ১২০০ টাকা কেজি, এক কেজি থেকে ১৪০০ গ্রাম ওজনের ১৪০০-১৮০০, দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ ১৯০০-২৪০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২২
এএটি