ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কাজে ফেরেননি লস্করপুর ভ্যালির ২৪ চা বাগানের শ্রমিকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
কাজে ফেরেননি লস্করপুর ভ্যালির ২৪ চা বাগানের শ্রমিকরা

হবিগঞ্জ: দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার পর মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ২৪টি বাগানের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত এ বাগানগুলোর শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি।

তবে কর্মবিরতিতে অন্যান্য দিনের মতো বাগানগুলোর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতিসহ অন্য নেতাদের দেখা যায়নি।

চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা বাগানে আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা বলেন, ২৫ টাকা মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং আন্দোলন প্রত্যাহারের ব্যাপারে নেতারা এসে আমাদের কিছু জানাননি। তাই আমরা কাজে যোগ দেইনি। ৩০০ টাকা মজুরি না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও আমরা যোগ দেব না।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী বলেন, ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারিত হওয়ার পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে সোমবার তারা কাজে যোগ দেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

শ্রমিকরা কেন কাজে যোগ দেননি জানতে চাইলে লস্করপুর ভ্যালির চা শ্রমিকদের সভাপতি রবীন্দ্র গৌড় ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল এ বিষয়ে কথা বলতে সম্মত হননি।

দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা। মজুরি বাড়ানোর জন্য বাগান মালিক, মজুরি বোর্ড, চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়। এতে দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে চলমান আন্দোলনে অচল হয়ে পড়া চা শিল্প সচল করতে মঙ্গলবার পুনরায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই বৈঠক আপতত হচ্ছে না বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।