ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা: স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের ব্যানারে দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মঙ্গলবারও (২৪ অক্টোবর) এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।  

অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ২০২১ সালে বলেছিলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হবে। ” কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০২২ সালে কোনো আবেদন নেওয়া হয়নি। ২০২৩ চলে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হচ্ছে না। ২০২৩ সালে যদি আবেদন না নেওয়া হয়, তাহলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারেন না।

তিনি আরও বলেন, গত ১৪ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে নন-এমপিও শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা চিন্তা করে বিশেষ বিবেচনায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন। গত ১৭ অক্টোবর বিশেষ বিবেচনায় আরো ৯১টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। আমরা মনে করি, দেশের সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী। তাই নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর সব শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

অবস্থান কর্মসূচিতে পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মনিমুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনি ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাতে পারেন, পদ্মা সেতু বানাতে পারেন, নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বানাতে পারেন, স্যাটেলাইট পাঠাতে পারেন, কাজেই আপনি অবশিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তও করতে পারবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ফরহাদ হোসেন বাবুল, অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, মো. জহুরুল ইসলাম রাজু, এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ আলতাব মাহমুদ, অধ্যক্ষ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন, প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, হাবিবুর রহমান বাবুল, বাবুল আক্তার, মো. নাইম হোসেন, মো. শহিদুল্লাহ, সুপার তরিকুল ইসলাম, প্রভাষক নুরুল আমিন নওয়াব, খায়রুল ইসলাম, প্রভাষক শামসুন্নাহার, প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।