ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

হেলমেট পরে সানগ্লাস লাগিয়ে মাঠে নামতে হবে: প্রকৌশলীদের শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
হেলমেট পরে সানগ্লাস লাগিয়ে মাঠে নামতে হবে: প্রকৌশলীদের শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: মাথায় হেলমেট পরে চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে হাতা গুটিয়ে প্রকৌশলীদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রোববার (২৬ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর আয়োজিত ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি ।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করব শুধু দাপ্তরিক কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখলেই হবে না। দাপ্তরিক কাজ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমাদের যেটা অভিজ্ঞতা, আমরা দেখছি, আমরা (প্রকৌশলীরা) দাপ্তরিক কাজে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার হোন অথবা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হোন তাকে অবশ্যই মাঠে যেতে হবে। আপনি মাঠে না নামলে আমার সন্তানও আপনাকে দেখে মাঠে নামবে না। আমার সন্তান যদি দেখে আপনি মাঠে নামছেন না তাহলে তাদের মধ্যে ধারণা হবে প্রকৌশলীর কাজ তো ফ্যানের নিচে বসে থাকা। ফাইল সই করা।

বিশ্বব্যাপী যে উষ্ণায়ন হচ্ছে সেটাকে মাথায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো তৈরি করতে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এইক্ষেত্রে ইনোভেশন আনতে হবে। ইনোভেশনের জায়গায় আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে যাচ্ছি না। কিছু ইনোভেশন করতে পারলে আমরা খরচ কমাতে পারি। তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এনে স্থাপনাগুলো করা যেতে পারে। পরিবেশবান্ধব স্থাপনা তৈরি করারও আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, এখন যেহেতু কারিকুলামে অ্যাক্টেভিটি করতে হয়, সেহেতু বিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ ডিজাইনে কীভাবে পরিবর্তন আনা যায় সেটা ভাবতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে— শিক্ষা পরিবারের মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিকে  যে ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর সবগুলোর যাতে কোথাও কোনও ধরনের সমস্যা না থাকে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।

সোলেমান খান বলেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী টিচিং ও লার্নিং পদ্ধতি ভিন্ন। সে অনুযায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন ও আসবাবপত্র সরবরাহ করতে হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২৩-২৪ অর্থবছরের প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি হার ৮৩ শতাংশ (এপ্রিল ২৪ পর্যন্ত), যা জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪১টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার ৫০০ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রায় ২২ হাজার ভবন নির্মাণ করেছে।

তিনি জানান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৩০ জন সহকারী প্রকৌশলী, ৪০ জন উপসহকারী প্রকৌশলীর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ নানা পর্যায়ের ২০২৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এমআইএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।