ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা কার্যক্রম শুরুসহ ঢাবি উপাচার্যের কাছে নীল দলের ৫ দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
শিক্ষা কার্যক্রম শুরুসহ ঢাবি উপাচার্যের কাছে নীল দলের ৫ দাবি

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনে ক্যাম্পাসে সংঘটিত সহিংসতা ও নাশকতার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

র‍্যালি শেষে পাঁচ দফা দাবিসহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর স্মারক দিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে মানবন্ধনটি আয়োজিত হয়। পরে একটি র‍্যালি আয়োজন করেন তারা।

এসময় শিক্ষকরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও আহত-নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত সকল শিক্ষার্থীদের অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তারা।

নীল দলের দাবিগুলো হলো-

১. কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের অবিলম্বে শান্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

২. আবাসিক হলগুলোতে বৈধ এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

৩. আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের জীবনমানের উন্নয়ন, স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং যেকোনো ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন রোধে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলোতে শুধু বৈধ শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিশ্চিতকরণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, নীল দলের পক্ষ থেকে যে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, এই দাবিগুলোর বিষয়ে সিন্ডিকেটের সভায় এর বেশ কিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত হিসেবে নিয়েছি।

সাম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপকদের নিয়ে আমরা একটি সভা করেছি। সেখানেও একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে যেন এই হত্যাকাণ্ডের গ্রহণযোগ্য বিচার করা হয়।

আমরা ইতোমধ্যে একটি কমিটি করেছি। তারা সে বিষয়ে কাজ করছে। আবাসিক হলে বৈধ এবং নিয়মিত ছাত্ররা যেন উঠতে পারে, সে সংক্রান্ত একটি নীতিমালা আমরা প্রণয়ন করেছি। আমাদের ওয়েবসাইটে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গণরুম নামে যে কালচার অতীতে ছিল, আমরা এসে তা বহুলাংশে কমিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো কালচার থাকা বা জোর করে কাউকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করানো থেকে শুরু করে যে ধরনের কার্যক্রমগুলো অতীতে হলে চালু ছিল, এগুলো যেন না থাকে। সেজন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা,আগস্ট ০৩,২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।