ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

কুমিল্লায় সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে কমেছে পাসের হার, ৫ বছরে সর্বনিম্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
কুমিল্লায় সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে কমেছে পাসের হার, ৫ বছরে সর্বনিম্ন

কুমিল্লা: ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে।  

আগের পাঁচ বছরের তুলনায় পাসের হার এ বছর কম।

এ বছর পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ।  

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান ড. মো. নিজামুল করিম এ ফল ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা বোর্ড সূত্র মতে, ২০২০ সালে করোনাকালে অটো পাস দেখিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়। সে বছর কুমিল্লা বোর্ডে পাস করে শতভাগ। ২০২১ সালে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ২০২২ সালে পাসের হার নেমে দাঁড়ায় ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশে। ২০২৩ সালের পরীক্ষায় এ বোর্ডে পাসের হার কমে যায়। তা গিয়ে দাঁড়ায় ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশে। এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশে। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। অবশ্য ২০২৩ সালে শতভাগ নম্বরে সব বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ চলতি বছর সাতটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়। এরপর শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যা পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরিণত হয়। এতে অংশ নেন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন দেশের সব শ্রেণিপেশার জনগণ। যাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। যাদের অনেকে হতাহত হয়েছেন। এজন্য বাকি চার বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। এজন্য অনুষ্ঠিত সাত বিষয় ও এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে সাবজেক্ট ম্যাপিং।  

তবে পাসের হার কমলেও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবার জিপি-৫ পেয়েছেন সাত হাজার ৯২২ শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালে পেয়েছিলেন পাঁচ হাজার ৬৫৫ শিক্ষার্থী।  

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নিজামুল করিম চৌধুরী বলেন, পরীক্ষার মধ্যে বন্যা হয়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে। যার কারণে আমাদের পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়। যে কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়েছে। ইংরেজিতে অকৃতকার্য হওয়ার হার বেশি। ফলাফল ভালো করতে আমাদের একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহযোগিতার প্রয়োজন।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষাবোর্ড সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীসহ বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।