ঢাকা, শুক্রবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবিতে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
বেরোবিতে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৪ বেরোবিতে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

নীলফামারী: হলের সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন।  

এর মধ্যে সাকিব ও মুন্নাকে আহতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাংবাদিক সোহেব আকতার সাকিব এ বিষয়টার মীমাংসা করতে গেলে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন ও হামলা করে।  

হামলাকারীরা হলেন- ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন বিভাগের সাইদ, সবুজ, শুভ, পলাশ, রানা।  

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা চলে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেরোবির বঙ্গবন্ধু হলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুলের সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীর মধ্যে সিট পুনর্বণ্টন নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে সহপাঠীরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে রমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।  

উভয়পক্ষ লাঠি ও ইটপাটকেল একে অপরের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নেন।  

অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষ চালিয়ে যান। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।  

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, এসব ঘটনা আসলে পরিকল্পিতভাবে ঘটাচ্ছে স্বৈরাচারীর দোসরা। স্বৈরাচার তো পালিয়ে গেছে কিন্তু তার প্রেতাত্মারা এখনও রয়ে গেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বিশেষ করে বন্ধের দিনে শুক্র ও শনিবারে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। নয়তো হলের শিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে ঘটনাটা এতদূর যেত না। আজ আমাদের প্রক্টোরিয়াল বডির ওপরও হামলা করা হয়েছে। একবার শুরুর দিকে প্রধান ফটকের সামনে এবং দ্বিতীয়বার যখন আমরা শিক্ষার্থীদের বের করে দেই প্রথম গেট দিয়ে তখন আমাদের ওপর হামলা করা হয়।  

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে দুপক্ষই অনড় অবস্থান নেওয়ায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।