জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবন অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি চার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।
বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে যমুনার সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। সকল জাতীয় আন্দোলনে জবি ছিলো সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। কিন্তু বরাবরই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। উচ্চ শিক্ষার নামে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে দাবি জানিয়ে আসছে, সরকার সেটিকে আমলে নিচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য আন্দোলনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের হামলা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত।
শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, যে সরকার শিক্ষার্থীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে না। যারা অতিউৎসাহী হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যে দাবি আছে সে ব্যাপারে অবশ্যই ঘোষণা আসতে হবে। জবির একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে বলছি—শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া উচিত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলছে, চলবে।
এফএইচ/এমজে