ঢাকা, রবিবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এবি যুবাইরের উদ্বেগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২৫, আগস্ট ২৪, ২০২৫
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এবি যুবাইরের উদ্বেগ সংবাদ সম্মেলন করছেন এবি যুবাইর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী এবি যুবাইর।

রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব উদ্বেগের কথা জানান তিনি।

এবি যুবাইর বলেন, আমরা চাই আসন্ন ডাকসু নির্বাচন হবে সকলের অংশগ্রহণমূলক উৎসবমুখর পরিবেশে। এই নির্বাচন হোক ভোটারবান্ধব, শিক্ষার্থী বান্ধব। অর্থাৎ, আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়েরা কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া যেন তাদের ভোট দিতে পারে। এ জায়গা থেকে আমাদের বেশ কিছু উদ্বেগের জায়গা আছে।

উদ্বেগের জায়গাগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো ভোট কেন্দ্র হল থেকে দূরে অবস্থিত। যে কারণে অনেকের মধ্যে ভোট দিতে অনীহা সৃষ্টি হতে পারে, অনেকের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে কষ্ট হতে পারে। সেই জায়গা থেকে আমরা চাই জসীম উদ্দিন হল, মুজিব হল ও জিয়া হলের ভোট কেন্দ্র হোক ল্যাবরেটরিতে। কুয়েত মৈত্রী হল ও ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের ভোট কেন্দ্র হোক পার্শ্ববর্তী সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটে।

তিনি আরও বলেন, ডাকসুকে সামনে রেখে প্রশাসন যে আচরণ বিধি প্রণয়ন করেছে, সেটি অনেক প্রার্থী ইচ্ছা-অনিচ্ছা, অনলাইনে-অফলাইনে ভঙ্গ করে চলেছে। এখনো মিছিলের সময় শুরু না হলেও অনেকে মিছিল করছে। আমরা মনে করি, যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাদের ওপর আমরা কীভাবে ভরসা রাখবো? সামনে ভোটের সময় যদি কারচুপি হয়, অন্যায় কিছু হয়, তাহলে যে প্রশাসন এখন ব্যবস্থা নিতে পারছে না, তারা তখন কীভাবে ব্যবস্থা নেবে? এতে আমাদের আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে। এজন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, অবিলম্বে আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। হলের আইডি কার্ড ছাড়া ভোট দিতে না পারার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, অনেক শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকে না। যেকোনো লিগ্যাল ডকুমেন্ট দেখানোর পরিপ্রেক্ষিতে ভোট দিতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।

যুবাইর আরও বলেন, অনেকের মূল নামের পাশাপাশি ডাক নাম থাকে। আমরা চাই ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের সেই ডাক নাম যেন যুক্ত করা হয়। এছাড়া প্রার্থীর ছবি যেন যুক্ত করা হয়। যাতে ভোট দিতে ভোটারদের বিভ্রান্তিতে পড়তে না হয়। ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক প্রার্থীকে অনলাইন-অফলাইনে হ্যারেসমেন্টের শিকার হতে হচ্ছে। অনেককে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে। নারী প্রার্থীদের বেশি হ্যারেসমেন্টের শিকার হতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যাতে কেউ হ্যারেসমেন্টের শিকার না হয়। ডাকসু নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন তারা পরবর্তীতে দেশের জন্য কাজ করবেন। তাই আমরা চাই না মাদকাসক্ত কেউ ডাকসুর নেতৃত্বে আসুক। তাই ডোপ টেস্টের মাধ্যমে মাদকাসক্তদের ছাটাই করা হোক।

এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।